RTO (Recovery Time Objective) এবং RPO (Recovery Point Objective) হলো দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক্স, যা ডেটা পুনরুদ্ধার এবং ডিজাস্টার রিকভারি (Disaster Recovery, DR) পরিকল্পনায় ব্যবহৃত হয়। এই দুটি মেট্রিক্স নির্ধারণ করে, একটি সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশন কত দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে এবং কতটা ডেটা হারানো যেতে পারে, সেই সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়।
১. Recovery Time Objective (RTO)
RTO হলো সেই সর্বাধিক সময়ের পরিমাণ যা একটি সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে, ডিজাস্টারের পর। এটি আপনার ব্যবসার নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম বজায় রাখতে কত দ্রুত সিস্টেম বা পরিষেবা পুনরুদ্ধার করতে হবে তার নির্দেশিকা প্রদান করে।
RTO এর বৈশিষ্ট্য:
- ব্যবসার কার্যক্রমে অবিচ্ছিন্নতা: RTO কম হলে, এর মানে হলো আপনি দ্রুত আপনার সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে চান।
- পুনরুদ্ধারের সময়: উদাহরণস্বরূপ, যদি RTO ৪ ঘণ্টা থাকে, তবে আপনাকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশন পুনরুদ্ধার করতে হবে, যাতে ব্যবসার কার্যক্রমে কোনো বড় ব্যাঘাত না ঘটে।
- ডিজাস্টার রিকভারি পরিকল্পনা: RTO সেট করার সময় আপনাকে একটি ডিজাস্টার রিকভারি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, যা আপনার সিস্টেমকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রাখবে।
উদাহরণ:
- RTO ৪ ঘণ্টা হতে পারে, যার মানে হলো একটি সিস্টেম বা সার্ভিস ডিজাস্টারের পর ৪ ঘণ্টার মধ্যে পুনরুদ্ধার হতে হবে।
২. Recovery Point Objective (RPO)
RPO হলো সেই সময়ের সীমা, যতটুকু ডেটা হারানো যেতে পারে। এটি সংজ্ঞায়িত করে, ডিজাস্টারের পর সর্বাধিক সময়ের মধ্যে কতটুকু ডেটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব, এবং কত পুরানো ডেটা আপনাকে ফেরত পেতে হবে। RPO সাধারণত ব্যাকআপ ফ্রিকোয়েন্সি দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং এটিই নির্ধারণ করে যে আপনাকে কত ঘন ঘন ডেটা ব্যাকআপ করতে হবে।
RPO এর বৈশিষ্ট্য:
- ডেটা হারানোর পরিমাণ: RPO কম হলে, এর মানে হলো আপনি কম সময়ের মধ্যে ব্যাকআপ রাখতে চান এবং কম ডেটা হারাতে চান।
- ব্যাকআপের ফ্রিকোয়েন্সি: RPO ডেটার ব্যাকআপের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি RPO ১ ঘণ্টা থাকে, তাহলে আপনার সিস্টেমের প্রতিটি ঘণ্টায় ব্যাকআপ নেওয়া উচিত, যাতে ১ ঘণ্টার বেশি পুরানো ডেটা হারানো না যায়।
- ডেটা ইন্টিগ্রিটি: RPO আপনাকে আপনার ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে, যাতে যেকোনো ডিজাস্টারের সময় কম ডেটা হারানো হয়।
উদাহরণ:
- RPO ৩০ মিনিট হতে পারে, যার মানে হলো আপনি ৩০ মিনিটের বেশি পুরানো কোনো ডেটা হারাতে পারবেন না এবং প্রতিটি ৩০ মিনিটে ব্যাকআপ নেয়া প্রয়োজন।
RTO এবং RPO এর মধ্যে পার্থক্য
- RTO সময়ের পরিমাণের প্রতিনিধিত্ব করে যা একটি সিস্টেম বা পরিষেবাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রয়োজন। এটি সিস্টেম বা অ্যাপ্লিকেশনের পুনরুদ্ধারের সময়সীমা নির্ধারণ করে।
- RPO সেই সময়কাল নির্দেশ করে, যতটুকু ডেটা হারানো যেতে পারে। এটি নির্ধারণ করে, কতটা পুরানো ডেটা অ্যাপ্লিকেশন বা সিস্টেম থেকে পুনরুদ্ধার করা হবে।
RTO এবং RPO কিভাবে নির্ধারণ করবেন
RTO এবং RPO নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে আপনার ব্যবসায়ের প্রক্রিয়া এবং ক্রিটিক্যাল সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করতে হবে:
- ব্যবসার প্রভাব বিশ্লেষণ: ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো চিহ্নিত করুন এবং ডিজাস্টারের পর পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করুন।
- ব্যবসার এবং আইটি প্রয়োজনীয়তা: আপনার আইটি সিস্টেমের জন্য কতটা ডেটা প্রয়োজন এবং আপনি কতটা ডেটা হারাতে পারবেন, সেটি মূল্যায়ন করুন।
- ব্যবসা প্রস্তুতি: পরিকল্পনা করুন যে কোন পরিস্থিতিতে কত দ্রুত আপনার সিস্টেম পুনরুদ্ধার করা যাবে এবং কত ডেটা হারানো যাবে।
সারাংশ
RTO (Recovery Time Objective) এবং RPO (Recovery Point Objective) হল দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক্স যা ডিজাস্টার রিকভারি পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয়। RTO সময়সীমা নির্ধারণ করে যে কত দ্রুত একটি সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং RPO নির্ধারণ করে কতটা ডেটা হারানো যেতে পারে। AWS এর মতো ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে, এই দুটি মেট্রিক্স একটি কার্যকরী রিকভারি পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করে, যাতে ব্যবসা বা অ্যাপ্লিকেশন ডিজাস্টারের পর দ্রুত এবং নিরাপদে পুনরুদ্ধার করা যায়।